cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল দেশের ১২টি জেলায় নির্মাণ করা হবে আইটি পার্ক। জেলাগুলো হচ্ছে- খুলনা, বরিশাল, রংপুর, নাটোর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট। সরকারের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকের পছন্দে ওই ১২ জেলা নির্ধারণ করা হয় বলে জানা যায়। এ নিয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও তৈরি করা হয়। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে আইটি পার্ক/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২ জেলায়)। প্রকল্পে সংযুক্ত করা হয় প্রতিবেশী দেশ ভারতকে। অর্থাৎ ভারতীয় ঋণে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য প্রকল্প বাজেট নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। বাকি ৩০২ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল একনেক থেকে প্রকল্পের বাজেট অনুমোদন করা হলেও কাজ শুরু করা হয় ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর পাল্টে গেছে ওই প্রকল্পের চিত্র। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে বর্তমানে কোনো অর্থও ছাড় করছে না ভারত। এ কারণে পুরো প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রকল্পটির পিডি এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, নানা কারণে আপাতত প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে চার জেলাকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় সচিবের নেতৃত্বে আইটি পার্ক/ হাইটেক পার্ক প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ওই প্রকল্পে ভারত থেকে ঋণের পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। তারই আলোকে প্রকল্প প্রস্তাব থেকে চার জেলাকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বাদ পড়া ওই জেলাগুলো হচ্ছে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার (রামু) ও সিলেট। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে এরই মধ্যে নাটোর ও রংপুরে তিন তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবন (আরসিসি) নির্মাণের কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা জানান, প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতির কাজ হয়েছে ৩৬ ভাগ। আর আর্থিক অগ্রগতির কাজ হয়েছে ৩৩ দশমিক ৯২ ভাগ।
ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভারতের ‘না’
প্রকল্পের জন্য ভারত থেকে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে ১৬টি বিলের বিপরীতে প্রকল্পের জন্য ৪৯৭ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ঋণের শর্ত অনুযায়ী, প্রকল্পর কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড ট্যুরগো (এলএনটি)। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরো কাজের সরাসরি তত্ত্বাবধান করে ভারতীয় হাইকমিশন। ৫ আগস্টের আগে প্রকল্প কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাংলাদেশে কাজ করত। ৫ আগস্টের পর তারা সবাই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। সম্প্রতি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আটজন কর্মকর্তা বাংলাদেশে ফিরলেও তারা প্রকল্প নিয়ে কোনো কাজ করছেন না। এর আগে প্রকল্পের প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধনীতে ভারতীয় ঋণ আরও ৬৫০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার থেকে নেওয়া ঋণ ৩০২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ওই প্রস্তাবে সায় দেয়নি ভারত। এদিকে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলার প্রকল্প নিয়ে। স্থানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে হাইটেক পার্ক সরাতে এর মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশন বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তাতে বলা হয়, ৫৫ একরের এই ছোট ক্যাম্পাসের (যা শিক্ষার্থী সংখ্যায় দেশে চতুর্থ বৃহত্তম) অভ্যন্তরে হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন করলেও শিক্ষার্থীদের চাওয়া অগ্রাহ্য করে তৎকালীন সরকার হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। যার কার্যক্রম বন্ধ করে অতিদ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর চান শিক্ষার্থীরা। তাদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। গতকাল গোপালগঞ্জে সরেজমিন তদন্তে যান আরেক হাইটেক পার্কের পিডি হুমায়ুন কবির। শিগগিরই তিনি এ নিয়ে রিপোর্ট দেবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, হয়তো গোপালগঞ্জ জেলাও প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে ১২ জেলার পরিবর্তে হয়তো সাত জেলাকে নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগোতে পারে। প্রকল্পটির পিডি এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, ১ শতাংশ সুদে অর্থায়ন করা এই প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ উপকরণ ভারত থেকে আসার কথা এবং চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস শুল্ক সরকারের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুল্ক বাবদ আমরা অর্থ পাচ্ছি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত ভারত আইটি প্রকল্পে নতুন করে আর কোনো ঋণ দিতে চায় না। এমনকি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে তারা বর্তমানে কোনো অর্থও ছাড় করছে না। এ কারণে পুরো প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। অবস্থা যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তাতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ ছাড়া ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে না।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন